“দামিনী আওয়াজ করতে লাগলো সেই রকম।” -দামিনী কে ছিল? ঘটনাটি উল্লেখ করো

“দামিনী আওয়াজ করতে লাগলো সেই রকম।” -দামিনী কে ছিল? ঘটনাটি উল্লেখ করো।

উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হলুদ পোড়া’ গল্পটিতে দামিনী ছিল বলাই চক্রবর্তীর ভাইপো নবীনের স্ত্রী।

বলাই চক্রবর্তী খুন হওয়ার পরে তার যাবতীয় সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয় ভাইপো নবীন। শহরের চল্লিশ টাকার চাকরি ছেড়ে নবীন অতঃপর সপরিবারে গ্রামে এসে থাকতে শুরু করে। কাকার খুনিকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য সে পুরস্কারও ঘোষণা করে। এরকম পরিস্থিতিতে তার একুশ দিন গ্রামে অতিবাহন হয়ে গেছে। একদিন তার স্ত্রী দামিনী যখন সন্ধ্যাবেলা লণ্ঠন হাতে রান্নাঘর থেকে উঠোন পার হয়ে শোওয়ার ঘরে যাচ্ছিল, সেই সময় খুব হালকা একটা দমকা বাতাস বাড়ির পুব কোণের তেঁতুল গাছের পাতা ছুঁয়ে তার গায়ে এসে লাগে। দামিনীর হাত থেকে লণ্ঠন ছিটকে গিয়ে পড়ে দক্ষিণের ঘরের বারান্দায়। উঠোনে ছিটকে পড়ে হাত-পা ছুঁড়তে ছুঁড়তে দামিনী অজ্ঞান হয়ে যায়। আর এই সময়েই ঝোড়ো হাওয়া দালানের আনাচে-কানাচে যেমন গুমরে গুমরে কাঁদে, দামিনী সেরকম আওয়াজ করতে থাকে।

Leave a Comment