“সঙ্গে যা হারা। মাটি দে।”- বক্তার নাম উল্লেখ করে ঘটনার পূর্বাপর বিশ্লেষণ করো

“সঙ্গে যা হারা। মাটি দে।”- বক্তার নাম উল্লেখ করে ঘটনার পূর্বাপর বিশ্লেষণ করো।

অথবা, “সঙ্গে যা হারা। মাটি দে।”- প্রশ্নোদ্ভূত ঘটনার প্রেক্ষিত বর্ণনা করো।

ঘটনার প্রেক্ষিত: মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘হারুন সালেমের মাসি’ গল্প থেকে গৃহীত প্রশ্নোদ্ভূত অংশটির বক্তা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র গৌরবি। অঘ্রানের এক সকালে গল্পের শিশু-চরিত্র হারা এসে গৌরবিকে জানায় তার মায়ের সাড়া না দেওয়ার কথা। তা শুনে হতচকিত হয়ে যায় গৌরবি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে সে হারাকে সঙ্গে নিয়ে তাদের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। হারার বাবা সামান্য ঘরামি হওয়া সত্ত্বেও পালবাবুদের চেয়ে উঁচু করে ঘর তোলায় এমন বিলাসিতা মেনে নিতে পারেনি সমাজ। ঘটনাক্রমে কিছুদিনের মধ্যেই সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় হারার বাবার। স্বামীর মৃত্যুতে কাতর হয়ে পড়ে আয়েছা বিবি। সাত বছরের ছোট্ট ছেলেটাকে নিয়েই তার দিন গুজরান হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। রোজ রাতে জ্বর আসত হারার মায়ের আর সেই উঁচু করে বাঁধা ঘরেই একা শুয়ে কাঁদত সে। এভাবেই একদিন নিথর হয়ে যায় তার দেহ, হারা ডেকে ডেকে আর মায়ের সাড়া পায় না।

হারার মায়ের মৃত্যুতে গৌরবিও ভীষণভাবে আহত হয় কারণ গৌরবির নিঃসঙ্গ জীবনে একমাত্র সঙ্গী ছিল এই আয়েছা বিবি। হারার মায়েরও সাতকুলে কেউ ছিল না, কেবল এক দুঃসম্পর্কের কাকা ছিল হারার, সে মোট বয়, মাঝে মাঝে বাস-স্ট্যান্ডে থাকে। তার আসার অপেক্ষায় ব্যর্থ হয়ে অবশেষে বিকেলবেলায় রাজমিস্ত্রি পাড়ার কয়েকজন এসে হারার মাকে কবরস্থ করে। সেইসময় হারার ধর্মানুযায়ী, তার মাকে মাটি দেওয়া প্রসঙ্গে বক্তা অর্থাৎ গৌরবি উক্ত মন্তব্যটি করেছে।

Leave a Comment