“অন্য এক আকাশের মতো চোখ নিয়ে/আমরা হেসেছি,/আমরা খেলেছি; অন্য এক আকাশের মতো চোখ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? আমরা হেসেছি,/আমরা খেলেছি;’- এ কথা কেন বলা হয়েছে

“অন্য এক আকাশের মতো চোখ নিয়ে/আমরা হেসেছি,/আমরা খেলেছি; অন্য এক আকাশের মতো চোখ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? আমরা হেসেছি,/আমরা খেলেছি;’- এ কথা কেন বলা হয়েছে? ২+৩

অন্য এক আকাশের মতো চোখ: ‘তিমিরহননের গান’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশ দ্রুত সময়ের পট পরিবর্তন করে সৃষ্টির আদিলগ্ন থেকে বর্তমানকালে এসে পৌঁছেছেন। এই সুদীর্ঘ কালের পথ নিয়ে ভাবার সময় কবি উপলব্ধি করেছেন যে আকাশ আমাদের কাছে প্রকৃতির চিরচেনা অসীম এক অংশ। অতীতে মানুষের দৃষ্টিও ছিল সেই আকাশের মতোই প্রসারিত। সেই দৃষ্টিতে কোনো সীমাবদ্ধতা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে সেই – গভীর, সুস্পষ্ট দৃষ্টিকে হারিয়ে মানুষের দৃষ্টি হয়ে গিয়েছে অন্য এক আকাশের মতো খণ্ডিত, অস্পষ্ট এবং সংকীর্ণ।

হাসি-খেলার উচ্ছ্বাস: বহু যুগ পূর্বে পৃথিবীর মাটিতে নেমে আসা সূর্যালোকের দীপ্তি ছড়িয়ে পড়েছিল মানুষের চোখে। কিন্তু সেই চোখের – দৃষ্টি ক্রমশ স্বার্থপরতার আঁধারে ম্লান হয়ে এল। সেই সংকীর্ণ, আত্মকেন্দ্রিক ৪ দৃষ্টি নিয়ে মানুষ জীবনকে দেখেছে, হেসেছে, খেলেছে, বংশগতিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে। কিন্তু একবারও ভাবেনি জীবনের প্রতি এই মোহ আসলে অন্ধত্বের নামান্তর, এই স্বার্থপর হাসি-খেলার উন্মত্ততা আসলে মানুষের চেতনাকে অন্ধকারের পথে ঠেলে দিচ্ছে। কবি আমাদের মন ও আচরণের এই অন্ধকার সম্পর্কেই সচেতন করতে চেয়েছেন।

Leave a Comment