স্বতই বিমর্ষ হ’য়ে ভদ্র সাধারণ/চেয়ে দ্যাখে তবু সেই বিষাদের চেয়ে”- কারা, কোন্ দৃশ্য, কেন চেয়ে দ্যাখে? এখানে কোন্ বিষাদের কথা বলা হয়েছে? ২+৩ যারা, যে দৃশ্য, যে কারণে: আলোচ্য কবিতায় কবি ‘ভদ্র সাধারণ’ বলতে শহুরে, আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধিদের বুঝিয়েছেন। মন্বন্তর, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রভৃতির ফলে নগরে আগত শরণার্থীদের জীবনযন্ত্রণা ও অসহায়তাকে তারা দূর থেকে দ্যাখে কিন্তু সামর্থ্য থাকলেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় না। কারণ, মানবিকতাশূন্য এই শ্রেণির মানুষ কেবল নিম্নবর্গীয় শোষিত শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগকে উপভোগ করে। যে বিষাদ: কবি পাঠ্য কবিতায় তেতাল্লিশের মন্বন্তরক্লীষ্ট সময়ের সামগ্রিক অন্ধকারকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। ক্ষুধাকাতর, মরণাপন্ন মানুষের ক্রমাগত আর্তনাদে কলকাতা নগরী যখন বিপর্যস্ত তখন নাগরিকদের একাংশের অমানবিক উদাসীনতায় কবি বিস্মিত এবং ব্যথিত হয়েছেন। এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির নাগরিক শিক্ষিত কিন্তু সংবেদনশীল নয়। শহরের বুকে কান্নার রোল শুনে, মৃতদেহের সারি প্রত্যক্ষ করে তারা বিমর্ষ হয় কিন্তু সেই বিমর্ষতায় মিশে থাকে বিরক্তি এবং নিজের চাহিদা পূরণ না হওয়ার অবসাদ। স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক এই শ্রেণির মানুষের মনে সমবেদনা নেই, নেই কোনো গ্লানিবোধ। তারা শহরের পথে, ওভারব্রিজে, নর্দমায় ক্ষুধাতুর দেহ প্রত্যক্ষ করে বিষণ্ণ বোধ করলেও, সমাজকে এই অবক্ষয়ের হাত থেকে মুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেয় না। কবি এখানে তাদের এই কৃত্রিম বিষাদ বা দুঃখ বিলাসিতার কথাই বলতে চেয়েছেন।

স্বতই বিমর্ষ হ’য়ে ভদ্র সাধারণ/চেয়ে দ্যাখে তবু সেই বিষাদের চেয়ে”- কারা, কোন্ দৃশ্য, কেন চেয়ে দ্যাখে? এখানে কোন্ বিষাদের কথা বলা হয়েছে? ২+৩

যারা, যে দৃশ্য, যে কারণে: আলোচ্য কবিতায় কবি ‘ভদ্র সাধারণ’ বলতে শহুরে, আত্মকেন্দ্রিক, স্বার্থপর মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রতিনিধিদের বুঝিয়েছেন। মন্বন্তর, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রভৃতির ফলে নগরে আগত শরণার্থীদের জীবনযন্ত্রণা ও অসহায়তাকে তারা দূর থেকে দ্যাখে কিন্তু সামর্থ্য থাকলেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় না। কারণ, মানবিকতাশূন্য এই শ্রেণির মানুষ কেবল নিম্নবর্গীয় শোষিত শ্রেণির মানুষের দুর্ভোগকে উপভোগ করে।

যে বিষাদ: কবি পাঠ্য কবিতায় তেতাল্লিশের মন্বন্তরক্লীষ্ট সময়ের সামগ্রিক অন্ধকারকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। ক্ষুধাকাতর, মরণাপন্ন মানুষের ক্রমাগত আর্তনাদে কলকাতা নগরী যখন বিপর্যস্ত তখন নাগরিকদের একাংশের অমানবিক উদাসীনতায় কবি বিস্মিত এবং ব্যথিত হয়েছেন। এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির নাগরিক শিক্ষিত কিন্তু সংবেদনশীল নয়। শহরের বুকে কান্নার রোল শুনে, মৃতদেহের সারি প্রত্যক্ষ করে তারা বিমর্ষ হয় কিন্তু সেই বিমর্ষতায় মিশে থাকে বিরক্তি এবং নিজের চাহিদা পূরণ না হওয়ার অবসাদ। স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক এই শ্রেণির মানুষের মনে সমবেদনা নেই, নেই কোনো গ্লানিবোধ। তারা শহরের পথে, ওভারব্রিজে, নর্দমায় ক্ষুধাতুর দেহ প্রত্যক্ষ করে বিষণ্ণ বোধ করলেও, সমাজকে এই অবক্ষয়ের হাত থেকে মুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেয় না। কবি এখানে তাদের এই কৃত্রিম বিষাদ বা দুঃখ বিলাসিতার কথাই বলতে চেয়েছেন।

Leave a Comment