“একমাত্র এই ভাবনা তাকে অন্যমনস্ক করে দেয়।” কার কথা বলা হয়েছে? যে পরিপ্রেক্ষিতে তার এই মানসিক অবস্থা তা নিজের ভাষায় লেখো

“একমাত্র এই ভাবনা তাকে অন্যমনস্ক করে দেয়।” কার কথা বলা হয়েছে? যে পরিপ্রেক্ষিতে তার এই মানসিক অবস্থা তা নিজের ভাষায় লেখো।

উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হলুদ পোড়া’ গল্পের উল্লিখিত অংশে ধীরেন চাটুয্যের কথা বলা হয়েছে।

পঙ্কজ ঘোষাল বলেছিল যে, মরা মানুষ অর্থাৎ অশরীরীও মানুষের গলা টিপতে পারে। আর কুঞ্জ গুনিন বলে যে, বলাই চক্রবর্তী শুভ্রাকে খুন করেছে কিন্তু সোজাসুজি নিজে নয়। কারণ মরার একবছরের মধ্যে সেটা কেউ করতে পারে না। ওই সময়ের মধ্যে শ্রাদ্ধশান্তি না হলে একমাত্র তখনই সরাসরি সে মানুষের ক্ষতি করতে পারে। কুঞ্জর মতে, বলাই চক্রবর্তী একজনকে ভর করে তার মধ্যস্থতায় শুভ্রাকে খুন করেছে সেই ব্যক্তির রক্তমাংসের হাত দিয়ে। এইসব কথা অনেক কান ঘুরে পরদিন সকালে পৌঁছে যায় শুভ্রার দাদা ধীরেনের কানে। এবং ধীরেনের মধ্যে তার প্রতিক্রিয়া হয়। অগ্রহায়ণের উজ্জ্বল মিঠে রোদ তখন চারিদিকে ছড়িয়ে আছে। বর্ষার পরিপুষ্ট গাছে আর আগাছার জঙ্গলে ‘পার্থিব জীবনের ছড়াছড়ি’। বাড়ির পিছনের ডোবাটি গাঢ় সবুজ কচুরিপানায় ঢাকা। তালগাছের গুঁড়ির ঘাটটি জল কমে অর্ধেকের বেশি ভেসে উঠেছে। তালকাঠের টুকরো দিয়ে ধাপগুলি ধীরেন সাত মাসের গর্ভবতী শুভ্রার ওঠানামার সুবিধার জন্যই তৈরি করে দিয়েছিল। পাড়ার লোকের ছড়ানো গুজব ধীরেনকে ক্ষুব্ধ করেনি বরং শুভ্রার খুনি কোন্দিক থেকে কীভাবে এবং কেন ঘাটে এসেছিল তা ধীরেন ভেবে যেতে থাকে এবং সেই ভাবনা তাকে অন্যমনস্ক করে দেয়।

Leave a Comment