“…অথবা এমন ঝাঁকি লেগে তার চিন্তা ও অনুভূতি বদলে যায়।” -কার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? এর কী নিদর্শন গল্পে পাওয়া গিয়েছে

“…অথবা এমন ঝাঁকি লেগে তার চিন্তা ও অনুভূতি বদলে যায়।” -কার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? এর কী নিদর্শন গল্পে পাওয়া গিয়েছে?

উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হলুদ পোড়া’ গল্পের উল্লিখিত অংশে ধীরেন চাটুয্যের কথা বলা হয়েছে।

বোন শুভ্রার মৃত্যু এবং তারপরে সেই খুনের সঙ্গে আর-এক খুন হওয়া ব্যক্তি বলাই চক্রবর্তীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ইত্যাদি ধীরেন চাটুয্যের মনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। তার চিন্তা ও অনুভূতির আকস্মিক পরিবর্তনে ধীরেনের চেতনাজগতে পরিবর্তন ঘটতে থাকে। শুভ্রার মৃত্যুর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্কুলের হেডমাস্টার ধীরেনকে একমাসের ছুটি নিতে বলেন এবং জানিয়ে দেন যে স্কুলের সেক্রেটারি মথুরবাবু ছুটি অনুমোদন করে দিয়েছেন। ধীরেন প্রাথমিকভাবে এ কথা শুনে অবাক হয়। মথুরবাবুর সঙ্গে দেখা করার কথাও ভাবে। কিন্তু চেতনার ‘ঝাঁকি’ তাকে অন্যভাবনায় নিয়ে যায়। একমাসের ছুটিতে মথুরবাবুর সঙ্গে দেখা করার অনেকসময় সে পাবে কিন্তু এখনই সেখানে না যাওয়া ভালো বলে তার মনে হয়। কারণ মথুরবাবুর যদি দয়া হয় এবং তার বোনের খুনের পিছনে যে কেলেঙ্কারির চর্চা হচ্ছে তা কাল্পনিক বলে যদি তিনি বুঝতে পারেন তাহলে তিনি হয়তো ছুটি বাতিল করে কাজে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে বসবেন। সেটা ধীরেনের পক্ষে ‘মুশকিল’ হবে। কারণ ধীরেন উপলব্ধি করতে পেরেছে যে প্রতিদিন স্কুলে গিয়ে ছেলে পড়ানোর ক্ষমতা তার আর নেই। চেনা মানুষদের সঙ্গে দেখা হওয়ার ভয়ে ধীরেন মাঠের পথ ধরে বাড়ি যেতে থাকে। এভাবে মনোজগতের এক বিপুল পরিবর্তন তার মধ্যে লক্ষ করা যায়।

Leave a Comment