গৌরবি তাড়াতাড়ি হাঁটতে পারে না।”- গৌরবির এই সমস্যার কারণ কী? হাঁটার সমস্যার কারণে সে কার উপর, কীভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল

গৌরবি তাড়াতাড়ি হাঁটতে পারে না।”- গৌরবির এই সমস্যার কারণ কী? হাঁটার সমস্যার কারণে সে কার উপর, কীভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল?

সমস্যার কারণ: মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ‘হারুন সালেমের মাসি’ ছোটোগল্পে বর্ণিত গৌরবি বিশেষভাবে সক্ষম এক দরিদ্র, অসহায় বিধবা। তার একটি পা জন্ম থেকেই ত্রুটিযুক্ত, গোড়ালি ও পাতা বাঁকা। পায়ের ‘আঙুলগুলো পেছনে বাঁকানো।’ এই কারণে সে তাড়াতাড়ি হাঁটতে পারে না। পা টেনে টেনে কষ্ট করে হাঁটতে হয় গৌরবিকে।

নির্ভরশীলতা: হাঁটার সমস্যার কারণে গৌরবি জীবিকার প্রয়োজনে শহরে যেতে পারে না। একাকী অসহায় নারী আর এক দুঃখিনী প্রতিবেশী আয়েছা বিবির উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। আয়েছা বিবি ওরফে হারার মা গৌরবিকে জীবিকার উপায় বলে দেয়। দুজনে মিলে বিলের ধারে, খালপাড়ে থানকুনি পাতা, কচুশাক, যজ্ঞডুমুরের ডাল, দূর্বাঘাস, বেলপাতা তোলে। তারপর সেগুলি বেচতে দেয় যশিদের কাছে। যশিরা শহরে সেসব বেচে পয়সা দেয় ওদের- এতে তাদের দিন গুজরান হয়। শাকপাতা, গুগলি সংগ্রহ করতে হারার মা গৌরবিকে সাহায্য করে। এইভাবে গৌরবি জীবিকা বা আর্থিক দিক থেকে আয়েছার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। এমনকি দুই নারী ছিল পরস্পরের সুখদুঃখের সঙ্গী। ফলে মানসিকভাবেও গৌরবি, হারার মা-র উপর নির্ভরশীল ছিল।

Leave a Comment