মহাশ্বেতা দেবীর ‘হারুন সালেমের মাসি’ গল্পে চিত্রিত নিবারণ চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো। নিবারণের ঈর্ষা: মহাশ্বেতা দেবীর লেখা ‘হারুন সালেমের মাসি’ গল্পের প্রধান চরিত্র গৌরবি, তার ছেলে হল নিবারণ। নিবারণ স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজের তৈরি বাড়িতে সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে থাকে। বিধবা মায়ের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব সে নেয়নি, এমনকি নিজের বাড়িতে আশ্রয়ও দেয়নি মাকে। একমাত্র বোন পুটির বিয়েতে ঘর তৈরির টাকা ভেঙে … Read more
হারুন সালেমের মাসি’ গল্প অবলম্বনে হারা চরিত্রটির পরিচয় দাও। বুদ্ধিমান ও সংযত: ‘হারুন সালেমের মাসি’ গল্পের ঘটনাধারা আবর্তিত হয়েছে মূলত বছর সাতেকের হারাকে কেন্দ্র করেই- যার প্রকৃত নাম হারুন সালেম। রোগা ছেলেটার কথা সড়োগড়ো নয়- আবার পেটে খিদের আগুন ও অপুষ্টিতে ভোগা হারা নির্বোধও নয়। তাই মাকে কোনোরকম নড়াচড়া করতে না দেখে পরিস্থিতি বুঝে সে … Read more
হারুন সালেমের মাসি গল্পের গৌরবি চরিত্রটি আলোচনা করো। ভূমিকা: মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘হারুন সালেমের মাসি’ ছোটোগল্পের প্রধান তথা কেন্দ্রীয় চরিত্র গৌরবি। গল্পকার আলোচ্য গল্পে নিজস্ব লিখনশৈলীর গুণে মাতৃহৃদয়ের আত্মিক টানকে তুলে ধরেছেন গৌরবি চরিত্রের মধ্য দিয়ে। বন্ধুত্বসুলভ মানসিকতা: জন্ম থেকে গৌরবির একটা পায়ে খুঁতের কারণে জীবিকা অর্জনে সে অক্ষম। তাই দীনদুঃখী অসহায় বিধবা গৌরবি তার … Read more
ছোটোগল্পের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য নিরূপণের মধ্য দিয়ে ‘হারুন সালেমের মাসি’ ছোটোগল্প হিসেবে কতটা সার্থক, তা দেখাও। ছোটোগল্প: বাংলা ছোটোগল্পের সার্থক স্রষ্টা হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনিই প্রথম ‘ছোটোগল্প’ শব্দটি ব্যবহার করেন। ছোটোগল্প কেবল ভাবাশ্রয়ী কল্পনামুখ্য নয়, বরং জীবননির্ভর এবং এতে রয়েছে খণ্ড কাহিনির ব্যবহার। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, ছোটোগল্পের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। সেগুলি হল- … Read more
“…অথবা এমন ঝাঁকি লেগে তার চিন্তা ও অনুভূতি বদলে যায়।” -কার সম্পর্কে এ কথা বলা হয়েছে? এর কী নিদর্শন গল্পে পাওয়া গিয়েছে? উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হলুদ পোড়া’ গল্পের উল্লিখিত অংশে ধীরেন চাটুয্যের কথা বলা হয়েছে। বোন শুভ্রার মৃত্যু এবং তারপরে সেই খুনের সঙ্গে আর-এক খুন হওয়া ব্যক্তি বলাই চক্রবর্তীর সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার চেষ্টা ইত্যাদি ধীরেন চাটুয্যের … Read more
“সে যেন বাইরের কোনো বিশিষ্ট অভ্যাগত…।” -কে, কার সম্পর্কে এ কথা ভেবেছে? তার যে মনোভাবের প্রকাশ এখানে ঘটেছে আলোচনা করো। উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হলুদ পোড়া’ গল্পের উল্লিখিত অংশে ধীরেন তার নিজের সম্পর্কেই এরকম ভেবেছিল। বোন শুভ্রার মৃত্যু দাদা হিসেবে ধীরেনকে স্বাভাবিকভাবেই বিচলিত করেছিল। তালকাঠের টুকরো দিয়ে বাড়ির পিছনের ডোবার ঘাটের ধাপগুলি ধীরেন সাত মাসের গর্ভবর্তী … Read more
“একমাত্র এই ভাবনা তাকে অন্যমনস্ক করে দেয়।” কার কথা বলা হয়েছে? যে পরিপ্রেক্ষিতে তার এই মানসিক অবস্থা তা নিজের ভাষায় লেখো। উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হলুদ পোড়া’ গল্পের উল্লিখিত অংশে ধীরেন চাটুয্যের কথা বলা হয়েছে। পঙ্কজ ঘোষাল বলেছিল যে, মরা মানুষ অর্থাৎ অশরীরীও মানুষের গলা টিপতে পারে। আর কুঞ্জ গুনিন বলে যে, বলাই চক্রবর্তী শুভ্রাকে খুন … Read more
“ব্যাখাটা দেওয়া উচিত ছিল কুঞ্জ গুণীর।” -কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে? কুঞ্জ কী কথা বলেছিল? উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হলুদ পোড়া’ গল্পে কুঞ্জ গুনিনের তন্ত্রমন্ত্রের প্রয়োগে দামিনী স্বীকার করে যে সে শুভ্রা, অর্থাৎ খুন হয়ে যাওয়া শুভ্রা চক্রবর্তীর অশরীরী আত্মা ভর করেছে দামিনীকে। এবং আরেক খুন হয়ে যাওয়া চরিত্র বলাই চক্রবর্তী তাকে খুন করেছে। কাছাকাছি … Read more
“দামিনীর মুখ দিয়ে এছাড়া আর কোন জবাব বার হল না…” দামিনীর মুখ দিয়ে কোন্ জবাব বের হয়েছিল? ঘটনাটি উল্লেখ করো। উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হলুদ পোড়া’ গল্পে দামিনী একমাত্র যে জবাব দিয়েছিল তা হল সে চাটুজ্যে বাড়ির শুভ্রা, এবং বলাই চক্রবর্তী তাকে খুন করেছে। বাতাস লেগে আকস্মিকভাবে নবীনের স্ত্রী দামিনী অসুস্থ হয়ে পড়লে কুঞ্জ গুনিনকে ডেকে … Read more
“…. শুধু আছে তীব্র উত্তেজনা এবং কৌতূহল-ভরা পরম উপভোগ্য শিহরণ।” যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে লেখক এ কথা বলেছেন নিজের ভাষায় লেখো। উত্তর: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘হলুদ পোড়া’ গল্পে গায়ে বাতাস লেগে অসুস্থ হয়ে পড়া দামিনীকে সুস্থ করে তুলতে পঙ্কজ ঘোষালের পরামর্শে ডেকে আনা হয়েছিল নামকরা কুঞ্জ গুনিনকে। তার গুণপনা দেখার লোভে বহু মানুষ সেখানে ভিড় করেছিল। লেখকের … Read more